ঢাকা: রাজনৈতিক প্রচারণায় ব্যক্তিগত বিলাসবহুল গাড়ির বদলে বাসের ব্যবহার বিশ্বজুড়ে এক জনপ্রিয় সংস্কৃতি। সম্প্রতি বাংলাদেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসে চড়ে সফরের মধ্য দিয়ে এই 'ক্যাম্পেইন বাস' ধারণাটি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রধান বাহন এই বিশেষায়িত বাস। বাসের গায়ে প্রার্থীর স্লোগান ও দলীয় প্রতীক থাকে। এর ভেতরে মিডিয়া ব্রিফিং রুম, নিরাপত্তা টিমের বসার জায়গা এবং ছোট বৈঠকের কক্ষ থাকে।
যুক্তরাজ্যে লেবার পার্টি ১৯৯৭ সালে প্রথম এই কৌশলে চমক দেখায়। তৎকালীন নেতা টনি ব্লেয়ারের লাল রঙের বাসে লেখা ছিল "নিউ লেবার, নিউ ব্রিটেন"। এটি ছিল মূলত একটি ভ্রাম্যমাণ প্রচার কেন্দ্র।
ইউরোপের প্রভাবশালী নেতা অ্যাঞ্জেলা মেরকেল এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানও সাঁজোয়া বাস ব্যবহার করেন। এরদোয়ান প্রায়ই বাসের ছাদ থেকে জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেন, যা তুরস্কে 'শক্ত নেতৃত্বের' প্রতীক হিসেবে পরিচিত।
প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে ইমরান খান তার 'লং মার্চ' ও নির্বাচনী প্রচারণায় বাসকে চলন্ত সমাবেশের মঞ্চে রূপ দেন। কিউবার নেতা ফিদেল কাস্ত্রোও বিপ্লবের পর সাধারণ ট্রাকে ভ্রমণ করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি সংযোগের বার্তা দিয়েছিলেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাস ব্যবহারের প্রধান উদ্দেশ্য হলো নেতার দৃশ্যমানতা বাড়ানো। বাস আকারে বড় হওয়ায় সহজেই মানুষের নজরে পড়ে এবং এটি এসইউভির তুলনায় বেশি গণমুখী হিসেবে বিবেচিত হয়।
নিরাপত্তার খাতিরে আধুনিক ক্যাম্পেইন বাসগুলো সাধারণত বুলেটপ্রুফ হয়ে থাকে। এক সিভিল এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ বলেন, "বাইরে থেকে সাধারণ বাস মনে হলেও ভেতরে এটি একটি শক্তিশালী কমান্ড সেন্টার হিসেবে কাজ করে।"
