শিক্ষা-গণতন্ত্র-প্রযুক্তি: ভবিষ্যৎ গঠনে ছাত্রসমাজই চালিকাশক্তি।
নবজাগরণ প্রতিবেদক | ঠাকুরগাঁও |
শুধু গণতন্ত্র নয়—গণতন্ত্রের অর্থ, দায়বদ্ধতা এবং বাস্তব রূপ নিয়ে ভাবতে হবে আমাদের। কারণ একটি প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্র গড়ে তুলতে হলে কেবল অধিকার নয়, দায়িত্বও পালন করতে হবে—এমন মন্তব্য করে একটি শক্তিশালী বার্তা দিলেন ভার্চুয়ালি যুক্ত প্রধান অতিথি, ঠাকুরগাঁও রিভারভিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে।
এই উৎসবটি ছিল কেবল একটি বিদ্যালয়ের ইতিহাস উদযাপন নয়, বরং একটি জাতির শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীরভাবে ভাবার উপলক্ষ।
ছাত্রদের প্রজ্ঞা ও প্রস্তুতির উপর গড়ে উঠবে আগামী বাংলাদেশ।
প্রধান বক্তা স্পষ্ট ভাষায় বলেন—জাতি গঠনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা অপরিহার্য। যেকোনো পরিবর্তনের সূচনা তাদের থেকেই আসতে হবে। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে প্রতিযোগিতা কঠিনতর হয়ে উঠেছে, আর প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় পিছিয়ে পড়া মানেই ইতিহাস থেকে মুছে যাওয়া।
> “জ্ঞানই হবে অস্ত্র, প্রযুক্তি হবে ঢাল। শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই,”—তিনি বলেন।
মানের অবনমন, কিন্তু দোষারোপ নয়—দায়িত্বের আহ্বান।
দেশব্যাপী শিক্ষার মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বক্তা দোষারোপে যাননি। বরং ছাত্র, শিক্ষক ও রাষ্ট্র—সকল পক্ষের সম্মিলিত দায়িত্বের উপর জোর দিয়েছেন।
তাঁর মতে, শুধু একাডেমিক সাফল্য নয়, শারীরিক ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করতেও শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হতে হবে। কারণ ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়তে হবে এমন নাগরিক দিয়ে যারা হবে সব দিক থেকে পরিপূর্ণ, দক্ষ ও দায়িত্বশীল।
শিক্ষকদের প্রতি ছিল কঠোর, কিন্তু গঠনমূলক বার্তা
শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কোনো গাফিলতির সুযোগ নেই। ছাত্রদের পড়ালেখায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে তারা কী শিখছে, কতটা বুঝছে। শিক্ষক যেন কেবল তথ্যদাতা না হয়ে ওঠেন, বরং হয়ে উঠেন অনুপ্রেরণার উৎস।
সমাপ্তি ভাবনা:
এই বক্তব্য শুধু একটি অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা ছিল না, বরং এটি ছিল বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গঠনের একটি রূপরেখা। শিক্ষার মান, ছাত্রদের প্রস্তুতি, গণতান্ত্রিক চেতনা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সমন্বয়ে গড়ে উঠবে এমন এক প্রজন্ম, যারা শুধু নিজেকে নয়, গোটা জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
এই বার্তা তাই কেবল ঠাকুরগাঁওয়ে থেমে থাকেনি, ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে, প্রতিটি অভিভাবকের মনে, প্রতিটি শিক্ষকের দায়িত্বে।