Top News

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে ৭০% সফলতা: কারা পেলেন সনদ, কারা থাকলেন পিছিয়ে?

 


৭০% সফলতা: ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত।

 প্রতিবেদন: নবজাগরণ ডেস্ক।

📅 প্রকাশকাল: ৪ জুন ২০২৫

দেশজুড়ে শিক্ষক হতে ইচ্ছুক লাখো তরুণ-তরুণীর দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ভাইভা পর্বের ফলাফল অবশেষে প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে প্রায় ৭০ শতাংশ প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন—এ যেন এক নতুন আশার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা প্রজন্মের বিজয়ের সুর।

সনদ পাওয়া মানেই স্বপ্ন ছোঁয়া—এমনটাই মনে করছেন উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। আর যারা এবার সফল হননি, তাদের সামনে আছে নতুন সুযোগের বার্তা—১৯তম নিবন্ধন পরীক্ষা।

📊 পরীক্ষার তিন ধাপে উত্তীর্ণদের চিত্র।

১৮তম নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রার্থীসংখ্যা ছিল নজরকাড়া।

প্রাথমিক (MCQ) ধাপে অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রায় ১৩ লাখ ৪০ হাজার পরীক্ষার্থী। উত্তীর্ণ হন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন, অর্থাৎ পাসের হার ছিল ৩৫.৮০%।

লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে উত্তীর্ণ হন ৮৩,৮৬৫ জন, যা মোট অংশগ্রহণকারীর তুলনায় মাত্র ২৪%।

শেষ ধাপ অর্থাৎ ভাইভা পরীক্ষায়, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ সফলতার সাথে শেষ করলেন নিবন্ধন যাত্রা।

এই ধাপে যারা সফল হয়েছেন, তারা দেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের উপযোগী হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং পাবেন প্রতীক্ষিত নিবন্ধন সনদ।

🧭 ফলাফল যেভাবে জানা যাবে।

পরীক্ষার ফলাফল পরীক্ষার্থীদের কাছে SMS এর মাধ্যমে পৌঁছে গেছে। এছাড়াও, ফলাফল জানা যাবে দুটি সরকারি ওয়েবসাইটে:

🌐 ntrca.teletalk.com.bd

🌐 ntrca.gov.bd

সেখানে রোল নম্বর দিয়ে প্রার্থীরা তাদের ফলাফল দেখতে পারবেন।

 বিশ্লেষণ: এই সাফল্যের পেছনের গল্প।

ভাইভা পরীক্ষায় ৭০ শতাংশ পাসের হার নিঃসন্দেহে এক ইতিবাচক ইঙ্গিত। এটি বোঝায় যে, বহু প্রার্থী শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নয়, বাস্তবভিত্তিক বিশ্লেষণ, যুক্তির প্রকাশ ও আত্মবিশ্বাসেও নিজেদের উপযুক্ত প্রমাণ করতে পেরেছেন। তবে বিপরীত চিত্রও আছে—৩০ শতাংশ প্রার্থী এখনও কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি। এটাই বাস্তবতা, এটাই প্রস্তুতির মূল্যায়ন।

🎯 শেষ কথা: যারা জিতলেন, যারা শিখলেন।

এই ফলাফল শুধু একটি পরীক্ষার পরিসংখ্যান নয়—এ একটি প্রজন্মের স্বপ্নপূরণের ইঙ্গিত। যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা এখন শিক্ষা বিস্তারের বাহক। আর যারা পারেননি, তাদের জন্য এটি হতাশার নয়, বরং নতুনভাবে আত্মসমীক্ষার সুযোগ।

শিক্ষক হওয়া কেবল পেশা নয়, এটি জাতি গঠনের ব্রত। এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া সেই ব্রত গ্রহণের প্রথম ধাপ।

> “একজন শিক্ষক পারেন একটি জাতির ভবিষ্যৎ বদলে দিতে। তাই নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া মানে কেবল চাকরি পাওয়া নয়—এ এক চেতনার উত্তরাধিকার।”

📣 নবজাগরণ আরও জানাবে নিবন্ধন পরীক্ষার পরবর্তী প্রক্রিয়া ও নিয়োগ সংক্রান্ত আপডেট। সাথে থাকুন।

নবীনতর পূর্বতন