বিক্রমাদিত্য হতে রাজনীতিককে পর্যবেক্ষণ: হর্ষবর্ধনের প্রস্তুতি ও সোনমের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা।



​মুম্বাই, ১১ নভেম্বর, ২০২৫:

​অভিনেতা হর্ষবর্ধন রানে (Harshvardhan Rane) তাঁর আসন্ন ছবিতে 'বিক্রমাদিত্য'-এর চরিত্রে বাস্তবসম্মত রূপ দিতে যে দীর্ঘ ও গভীর প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, সেই তথ্য সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি, সহ-অভিনেত্রী সোনম বাজওয়াকে (Sonam Bajwa) তিনি 'সেরা দুজনের একজন' বলে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন।

​বিক্রমাদিত্য চরিত্রটিকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার জন্য হর্ষবর্ধন বিশেষ প্রস্তুতি নেন। তিনি জানান, 'বিক্রমাদিত্যর শৈশব থেকে শুরু করে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের পুরো গল্প নিজের মতো করে লিখে রেখেছিলাম।' পরে পরিচালক মিলাপ জাভেরি এবং চিত্রনাট্যকার মুস্তাক শেখ তাঁর এই প্রস্তুতি অনুমোদন করেন।

​চরিত্রের গভীরতা বোঝার জন্য অভিনেতা একজন জনপ্রিয় রাজনীতিকের আচরণ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি বলেন, 'তাঁর হাঁটা, কথা বলা, এমনকি জনতার উদ্দেশে হাত নাড়ার ভঙ্গিটাও আয়ত্ত করার চেষ্টা করেছি।' শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে হর্ষবর্ধন বলেন, সেই সময় তাঁর মনে হতো তিনি যেন সত্যিকারের ক্ষমতার নিশ্বাস নিচ্ছেন।

​অন্যদিকে, ছবিতে হর্ষবর্ধন ও সোনম বাজওয়ার রোমান্টিক রসায়ন দর্শকের মনে দাগ কেটেছে। পর্দার বাইরেও তাঁদের মধ্যে আন্তরিক বন্ধন বজায় আছে। সহ-অভিনেত্রী সোনমকে নিয়ে হর্ষবর্ধন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, তিনি তাঁর ক্যারিয়ারে কাজ করা অভিনেত্রীদের মধ্যে সোনমকে নিঃসন্দেহে সেরা দুজনের একজন মনে করেন।

​সোনমকে 'পাহাড়সম প্রতিভা', 'বিনয়ী' এবং 'পরিশীলিত মানুষ' হিসেবে বর্ণনা করে হর্ষবর্ধন তাঁর সংবেদনশীলতার প্রশংসা করেন। তিনি আরও যোগ করেন, 'নীরব থেকেও শুধু চোখের অভিব্যক্তিতে পুরো দৃশ্যকে জীবন্ত করে তুলতে পারে সোনম।' একবার কোনো দৃশ্যের মূল ভাব বুঝে গেলে তিনি 'শিকারি বাঘিনীর মতো—মনোযোগী, তীক্ষ্ণ আর ভয়ংকরভাবে নিবিষ্ট' হয়ে ওঠেন বলে হর্ষবর্ধন মন্তব্য করেন।


Previous Post Next Post