বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘গভীর উদ্বেগজনক’ বলে বর্ণনা করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংখ্যালঘু নির্যাতন ও সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে নয়াদিল্লি এই অবস্থান জানিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, "বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধসহ সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্বেষ চলছে, তা গভীর উদ্বেগের বিষয়।"
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি তারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। এসব ঘটনাকে স্রেফ ‘মিডিয়ার বাড়াবাড়ি’ বা ‘রাজনৈতিক সহিংসতা’ হিসেবে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ময়মনসিংহে এক হিন্দু যুবক নিহতের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জয়সওয়াল বলেন, "আমরা প্রত্যাশা করি ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।"
এদিকে রাজবাড়ীর পাংশায় অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট নিহিত হওয়ার ঘটনাকে ‘সাম্প্রদায়িক হামলা’ নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের এক বিবৃতিতে একে ‘চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি বলা হয়েছে।
সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, "নিহত অমৃত মন্ডলের বিরুদ্ধে হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। চাঁদা দাবির সময় স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে তিনি নিহত হন।"
অন্যদিকে ভারতে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিশনে বিক্ষোভ ও প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা দাহের ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। বিজেপি ও কয়েকটি সংগঠনের এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এই কড়া অবস্থান নেওয়া হয়।
