বেলারুশে নিজেদের শক্তিশালী ও অত্যাধুনিক 'ওরেশনিক' হাইপারসনিক মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মোতায়েনের খবর নিশ্চিত করেছে। প্রতিবেশী দেশ এবং ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশে এই প্রথমবার পারমাণবিক সক্ষমতাসম্পন্ন এই মিসাইল সিস্টেম সক্রিয় করা হলো। এর আগে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো জানিয়েছিলেন যে, রাশিয়ার এই ভয়ংকর অস্ত্রটি বছরের শেষ নাগাদ তাঁর দেশে পৌঁছাবে।
ওরেশনিক মিসাইলটি শব্দের চেয়ে ১০ গুণ দ্রুত গতিতে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এবং এটি প্রতিহত করার ক্ষমতা বর্তমানে কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নেই। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ৫ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত, যা দিয়ে পুরো ইউরোপ এবং আমেরিকার কিছু অংশেও হামলা চালানো সম্ভব। বেলারুশে মোতায়েনের ফলে ইউরোপের বিভিন্ন কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে রাশিয়ার আঘাত করার সময় অনেক কমে আসবে। ইউক্রেনের একটি প্রতিরক্ষা কারখানায় গত নভেম্বরে এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছিল মস্কো।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগেই সতর্ক করেছিলেন যে, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারে সহায়তা করলে রাশিয়া এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবে না। যদিও এর সুনির্দিষ্ট অবস্থান প্রকাশ করা হয়নি, তবে স্যাটেলাইট চিত্রে পূর্ব বেলারুশের একটি বিমানঘাঁটিতে এই সিস্টেমের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি রাশিয়ার একটি শক্ত রাজনৈতিক সংকেত যা ন্যাটোর পূর্ব প্রান্তে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করবে। এই পদক্ষেপে বেলারুশের ওপর রাশিয়ার সামরিক ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ আরও মজবুত হলো বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
