নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা
ভারত থেকে পণ্য আমদানির প্রভাবে অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে দেশে একের পর এক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে টেক্সটাইল, প্লাস্টিক এবং হালকা প্রকৌশল খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারত থেকে কম মূল্যে পণ্য আসার কারণে দেশীয় পণ্যের চাহিদা বাজারে দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় উদ্যোক্তারা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেন না।
সাভারের একজন প্লাস্টিক কারখানা মালিক বলেন, "কাঁচামালের দাম বাড়ার পরও আমরা টিকে থাকার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু সীমান্ত দিয়ে সস্তা পণ্য আসায় আমাদের বিক্রি অর্ধেক হয়ে গেছে। গত মাসে আমি কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি।"
অর্থনীতিবিদদের মতে, শুল্ক কাঠামো এবং আমদানিনীতির অসামঞ্জস্যতার কারণে এই সংকট তৈরি হয়েছে। দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে না পারলে কর্মসংস্থান হারানোর ঝুঁকি বাড়বে বলে তারা সতর্ক করেছেন।
এফবিসিসিআই-এর এক সদস্য বলেন, "ভারতীয় পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়লে আমাদের দেশীয় শিল্প ভিত্তিহীন হয়ে পড়বে। সরকারকে অবিলম্বে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক এবং দেশীয় উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে।"
বর্তমানে অনেক কারখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকায় হাজার হাজার শ্রমিক কাজ হারানোর শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। বিসিক শিল্প নগরীর অনেক প্লট এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

