Top News

সাম্য হত্যার পর বদলে যাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান?

 


সাম্য হত্যাকাণ্ডের পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বড় পরিবর্তনের উদ্যোগ: নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুগান্তকারী ৭ সিদ্ধান্ত.

প্রতিবেদন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাম্য হত্যাকাণ্ড শুধু একটি মর্মান্তিক ঘটনা নয়, এটি আমাদের নগরের উন্মুক্ত স্থানে নিরাপত্তাহীনতার নগ্ন বাস্তবতাকে সামনে এনে দিয়েছে। জনমানুষের অবাধ চলাচলের এক সময়কার প্রিয় স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যেন ধীরে ধীরে রূপ নিচ্ছে ভয়ের প্রতীকে। এই পটভূমিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে নেওয়া হয়েছে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, যার লক্ষ্য—উদ্যানকে একটি সুশৃঙ্খল, নিরাপদ ও মনোরম পরিবেশে রূপান্তর করা।

সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্তটি হলো—রাজু ভাস্কর্যের পেছনের প্রবেশপথ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে, যাতে অনিয়ন্ত্রিত চলাচল ও অপরাধপ্রবণতা কমানো যায়। পাশাপাশি, উদ্যানের ভেতরের অবৈধ দোকানপাট, মাদক ব্যবসা ও অপরিচ্ছন্নতা দূর করতে যৌথ অভিযান চালাবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, ডিএমপি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। নিয়মিত মনিটরিং ও অভিযানের জন্য একটি স্টেকহোল্ডার কমিটিও গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নিরাপত্তা জোরদারে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারেও জোর দেওয়া হচ্ছে। উদ্যানজুড়ে পর্যাপ্ত আলো এবং সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে, যেগুলোর নিয়মিত মনিটরিং নিশ্চিত করা হবে। এ ছাড়াও, একটি ডেডিকেটেড পুলিশ বক্স স্থাপন করা হবে, যাতে তাৎক্ষণিক সহায়তা নিশ্চিত করা যায়। উদ্যান ব্যবস্থাপনায় রমনা পার্কের মতো সুশৃঙ্খল পদ্ধতি চালুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে রাত ৮টার পর জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা একদিক থেকে বিতর্কিত হলেও নিরাপত্তার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ।

সরকার মনে করছে, এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে আতঙ্কের স্থান থেকে রূপান্তর করা সম্ভব একটি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক নাগরিক পরিসরে। এ প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতাও প্রত্যাশা করা হয়েছে।

এদিকে সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং দোষীদের কঠোর বিচারের আওতায় আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা আশ্বাস দিয়েছেন।

নবীনতর পূর্বতন