২০২৫ সালের শুরু থেকেই বিশ্বের সবচেয়ে সংঘাতপ্রবণ দেশের তালিকায় শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে ইসরায়েল। ডাটা অ্যানালিটিক্স প্রতিষ্ঠান 'আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা প্রজেক্ট' (এসিএলইডি)-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গাজা উপত্যকা এবং লেবানন সীমান্তে চলমান তীব্র সামরিক অভিযানের কারণেই দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে ইসরায়েল ও তার আশেপাশে রাজনৈতিক সহিংসতার হার আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষ করে বিমান হামলা, ড্রোন আক্রমণ এবং স্থল যুদ্ধের ব্যাপকতা দেশটিকে বিশ্বের সবচেয়ে অশান্ত অঞ্চলে পরিণত করেছে। এসিএলইডি তাদের সূচকে সংঘাতের তীব্রতা, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এবং সংঘর্ষের স্থায়িত্বকে প্রধান মাপকাঠি হিসেবে ব্যবহার করেছে।
গাজা ও লেবাননের বাইরেও অধিকৃত পশ্চিম তীরে সংঘাতের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়েছে বলে পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়মিত অভিযান এবং পাল্টা আক্রমণের ফলে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি এখন সংঘাতের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি মনে করছে, বর্তমান সামরিক কৌশল পরিবর্তন না হলে এই সংঘাত আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
এই তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে মিয়ানমার ও ইউক্রেন। তবে ইসরায়েলের ক্ষেত্রে সংঘাতের ধরনে কিছুটা ভিন্নতা দেখা গেছে, যেখানে প্রযুক্তিগত হামলা ও জনসংখ্যার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যুদ্ধের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। এই অস্থিরতার ফলে কেবল জানমালের ক্ষতি হচ্ছে না, বরং পুরো বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতিতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
