স্বামীর পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হচ্ছেন বেগম জিয়া, জানাজায় দেশ-বিদেশের বিশিষ্টজন,


 

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কফিন হাজার হাজার নেতাকর্মীর কাঁধে চড়ে জানাজার মাঠে পৌঁছেছে। আজ ৩১ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। গত ৩০ ডিসেম্বর ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর পর আজ পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষ বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হচ্ছে।

সকাল থেকেই রাজধানীসহ সারা দেশ থেকে আসা লাখো মানুষ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। জানাজার আগে তাঁর কফিনবাহী গাড়িটি নেতাকর্মীদের ভিড়ের কারণে সামনে এগোতে পারছিল না। পরে আবেগঘন পরিবেশে দলীয় নেতাকর্মীরা কাঁধে করে কফিনটি জানাজার নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যান। জানাজায় ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।

জানাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং বিদেশি কূটনীতিকরা অংশ নেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খল থাকার আহ্বান জানান। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার এই জানাজায় উপস্থিত থেকে শ্রদ্ধা জানান।

জানাজা শেষে বেগম জিয়ার মরদেহ শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের ঠিক পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে। দাফনের আগে সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল তাঁকে গার্ড অব অনার ও রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান করবে। দাফন কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকায় সাধারণের প্রবেশ সীমিত রাখা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সারা দেশে আজ সাধারণ ছুটি এবং তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক চলছে। রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২৭ প্লাটুন বিজিবিসহ কয়েক হাজার পুলিশ ও র‍্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে। নেতাকর্মীদের চাপে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে বিজয় সরণি পর্যন্ত পুরো এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।

Previous Post Next Post