উত্তর কোরিয়া আবারও সমুদ্রে বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়ে নিজেদের সামরিক শক্তির জানান দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান চরম উত্তেজনার মধ্যেই কিম জং উন এই পদক্ষেপ নিলেন। দেশটির পূর্ব উপকূলে এই মিসাইলগুলো আঘাত হেনেছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে। কিম জং উন ব্যক্তিগতভাবে এই পরীক্ষা তদারকি করেছেন বলে পিয়ংইয়ংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এই মিসাইল উৎক্ষেপণকে সরাসরি ওয়াশিংটনের জন্য একটি কড়া সতর্কতা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া শুরুর পরপরই উত্তর কোরিয়া এই পাল্টা ব্যবস্থা নিল। পিয়ংইয়ং মনে করে, এই ধরণের মহড়া আসলে তাদের দেশ দখলের একটি মহড়া মাত্র। কিম জং উন সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন যে, তার দেশ যেকোনো ধরণের যুদ্ধের জন্য এখন পুরোপুরি প্রস্তুত।
উত্তর কোরিয়ার এই শক্তিশালী মিসাইলগুলো দূরপাল্লার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। যুক্তরাষ্ট্র বারবার আলোচনার প্রস্তাব দিলেও কিম জং উন তাতে সাড়া না দিয়ে পরমাণু শক্তি বৃদ্ধিতে মনোযোগ দিচ্ছেন। জাপানের জলসীমার কাছাকাছি মিসাইলগুলো পড়ায় টোকিও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এই ঘটনার ফলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নতুন করে বড় ধরণের সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই উত্তর কোরিয়া একের পর এক এই ধরণের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। কিম জং উন জানিয়েছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেবেন না। ওয়াশিংটন পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে এবং মিত্র দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এই মিসাইল পরীক্ষার পর দক্ষিণ কোরিয়া তাদের সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা জারি করেছে।
