মস্কো: ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা গত কয়েক বছরে ২২ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র এবং গোলাবারুদ উৎপাদনের এই অভাবনীয় গতিতে কিয়েভ প্রশাসন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেক্সেই ক্রিভোরুচকো জানিয়েছেন, বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে তাদের ড্রোন, মিসাইল এবং আর্টিলারি উৎপাদন বহুগুণ বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, "আমাদের প্রতিরক্ষা শিল্প এখন আগের চেয়ে ২২ গুণ বেশি শক্তিশালী এবং দ্রুততম সময়ে ফ্রন্টলাইনে রসদ পাঠাতে সক্ষম।"
ক্রেমলিনের এই সামরিক উত্থানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত গোলাবারুদের অভাবে ইউক্রেনীয় বাহিনী ফ্রন্টলাইনে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে।
রণক্ষেত্রে রুশ বাহিনীর পক্ষ থেকে ড্রোন এবং গাইডেড বোমার ব্যাপক ব্যবহার বাড়ছে। কিয়েভের এক সামরিক বিশ্লেষক বলেন, "রাশিয়ার উৎপাদনের গতি আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে রীতিমতো দিশেহারা করে দিচ্ছে।"
যুদ্ধের এই পর্যায়ে রাশিয়ার বিপুল সমরাস্ত্র মজুত পশ্চিমা বিশ্বকেও নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে। ন্যাটোর গোয়েন্দা তথ্যানুযায়ী, রাশিয়া তার অর্থনীতির বড় একটি অংশ এখন সামরিক খাতে ব্যয় করছে।
