রাজশাহী, ৮ নভেম্বর, ২০২৫:
অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল প্রযুক্তি উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এটুআই (a2i) আজ রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য দিনব্যাপী একটি ডিজিটাল অ্যাক্সেসিবিলিটি ট্রেনিং কর্মশালা আয়োজন করে। এই কর্মশালার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রকৌশলীদের মধ্যে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ সকলের জন্য সমান প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করার জ্ঞান বৃদ্ধি করা হয়।
মূল অংশ
রুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণকারীরা সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সহজলভ্য ও ব্যবহারবান্ধব ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ তৈরির গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো সম্পর্কে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ প্রদান করেন এটুআই-এর অ্যাক্সেসিবিলিটি পরামর্শক ভাস্কর ভট্টাচার্য্য।
দিনব্যাপী এই সেশনে আন্তর্জাতিক অ্যাক্সেসিবিলিটি মানদণ্ড এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নকশার নীতিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়। শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল পণ্য তৈরি ও নকশার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী-কেন্দ্রিক চিন্তা করার উপর জোর দেওয়া হয়।
উদ্বোধনী অধিবেশন
কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুয়েটের সম্মানিত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের প্রযুক্তিনির্ভর পণ্যগুলো সকলের জন্য সমানভাবে প্রবেশগম্য করতে হবে। আজকের এই প্রশিক্ষণ সেই পথেই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) মোহাঃ আব্দুর রফিক। সভাপতিত্ব করেন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শহীদ উজ জামান। এছাড়া বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরাও উদ্বোধনীতে অংশ নেন।
সমাপনী
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধরনের কর্মশালা প্রযুক্তি ও প্রকৌশল শিক্ষায় অ্যাক্সেসিবিলিটি বা প্রবেশগম্যতার বিষয়টি শুরুতেই যুক্ত করবে। এতে করে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরা যখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবেন, তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা সকল নাগরিকের জন্য ব্যবহার উপযোগী হবে। এই উদ্যোগ ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
