(৮ ই নভেম্বর ২০২৫)
বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেন স্বয়ংক্রিয় ধৌতকরণ ব্যবস্থা (ওয়াশিং প্ল্যান্ট) প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতি এবং অতিরিক্ত মূল্যে মিটারগেজ কোচ ক্রয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রধান কার্যালয় (০৬ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রি.) একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে।
লিড/সূচনা অনুচ্ছেদ,
দুদকের অভিযানে দেখা গেছে, ২০০টি মিটারগেজ কোচ ও ৫০টি ব্রডগেজ কোচের সাথে সংগ্রহ ও স্থাপন করা দুটি অটোমেটিক ওয়াশিং প্ল্যান্ট দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় নিশ্চল পড়ে আছে। প্ল্যান্টটির যন্ত্রপাতি সচল থাকা সত্ত্বেও যথাযথ পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থাপন না করায় এবং প্রজেক্ট বাস্তবায়নে বিভিন্ন অপারেশনাল চ্যালেঞ্জ বিবেচনা না নেওয়ায় এই অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এই অব্যবস্থাপনার কারণে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হয়েছে বলে দুদক প্রাথমিক ধারণা করছে।
মূল অংশ,
দুদকের টিম অভিযানকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছে। তারা জানায়, ২০১৬ সালে কেনা ১৫০টি মিটারগেজ কোচ ক্রয়ের প্রক্রিয়ায় অনিয়মের যে অভিযোগ রয়েছে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহের জন্য চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের তথ্য: রেকর্ডপত্র থেকে জানা যায়, দুটি ওয়াশিং প্ল্যান্ট সংগ্রহ ও স্থাপনের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। এই প্ল্যান্টগুলো ট্রেন ধোয়ার কাজে ব্যবহারের কথা ছিল।
অব্যবস্থাপনা: দুদক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখেছে, প্ল্যান্ট দুটির যন্ত্রপাতি সচল থাকা সত্ত্বেও সেগুলো কাজে লাগানো যাচ্ছে না। যথাযথ পরিকল্পনা ও অপারেশনাল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যর্থতার কারণেই প্ল্যান্টটি নিশ্চল হয়ে আছে।
কোচ কেনা: অতিরিক্ত মূল্যে মিটারগেজ কোচ ক্রয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়ের অভিযোগের বিষয়টিও দুদক অনুসন্ধান করছে। ২০১৬ সালে কেনা ১৫০টি মিটারগেজ কোচ ক্রয়ের ফাইলপত্র এখন দুদকের নজরদারিতে।
রেকর্ডপত্র সংগ্রহ ও পর্যালোচনার পর তদন্তকারী টিম দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সমাপনী,
দুদকের এই অভিযান রেলওয়ের বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে আর্থিক অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার গুরুতর অভিযোগের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা আধুনিক সরঞ্জাম দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকা এবং অতিরিক্ত মূল্যে কোচ কেনার অভিযোগের ফলে জনগণের অর্থ অপচয়ের বিষয়টি সামনে এলো। তদন্ত শেষে দুদকের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
