পদ্মা ৮০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প: নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বড় অগ্রগতি।
শরীয়তপুরের জাজিরা ও মাদারীপুরের শিবচরে দেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনের পথে বাংলাদেশ। পদ্মা ৮০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে প্রয়োজনীয় সাইট ক্লিয়ারেন্স, প্ল্যান্ট ডিজাইন, রুট জরিপ, বিস্তারিত সম্ভাব্যতা যাচাই (DFS), পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন (ESIA) এবং প্রাথমিক পরিবেশগত পরীক্ষা (IEE) সম্পাদনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
গত ১৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয় নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল), ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিটি কোম্পানি (আইআইএফসি), সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিসেস লিমিটেড (CERSL) এবং ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস কনসালট্যান্ট লিমিটেড (DSCL)-এর মধ্যে।
প্রকল্পটির মাধ্যমে পদ্মা নদীর তীরবর্তী জাজিরা ও শিবচর অঞ্চলে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদনের এক নতুন যুগ সূচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চুক্তির আওতায় শুধু প্রযুক্তিগত দিক নয়, স্থানীয় মানুষের জীবন-জীবিকা ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার দিকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হবে। এজন্য আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন সম্পন্ন করা হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে জাতীয় গ্রিডে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ যোগ হবে, যা জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করবে। পাশাপাশি শরীয়তপুর ও মাদারীপুর অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আসবে, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে এবং দীর্ঘমেয়াদে পরিবেশগত স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে।
বাংলাদেশ সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে এই প্রকল্প একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, রূপান্তরমূলক এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে অগ্রণী অবস্থানে পৌঁছাবে।