Top News

৬০০ কোটি টাকার বিনিয়োগে গ্যাস উৎপাদন সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত।

 


তিতাস গ্যাসক্ষেত্রে কূপ-মুখে কম্প্রেসর: সরবরাহ বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে গ্যাস নেটওয়ার্কে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আগস্ট ২০২৫ – দেশের জ্বালানি খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলতে যাচ্ছে তিতাস গ্যাস ফিল্ডে। দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদনশীল থাকা অনেক কূপে গ্যাস চাপ (প্রেসার) কমে যাওয়ায় জাতীয় গ্রিডে সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিচ্ছিল। এ অবস্থায় কূপ-মুখে অত্যাধুনিক কম্প্রেসর স্থাপন কাজ শুরু হয়েছে, যা সম্পন্ন হলে উৎপাদন বাড়বে এবং সরবরাহে স্থিতিশীলতা আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।

তিতাস গ্যাস ফিল্ডের দুটি স্থানে ৬০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে স্থাপিত এই কম্প্রেসরগুলো গ্যাস উত্তোলনের পরপরই চাপ বাড়িয়ে সঞ্চালন লাইনে পাঠাতে সক্ষম হবে। ফলে গ্যাস ব্লো-ডাউন করার প্রয়োজন হবে না, এবং প্রতিটি কূপ থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ গ্যাস আহরণ সম্ভব হবে। প্রকৌশলীরা বলছেন, এটি চালু হলে জাতীয় গ্যাস নেটওয়ার্কে সরবরাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।

উদ্যোগটির মাধ্যমে শুধু সরবরাহ বৃদ্ধি নয়, বরং অপচয়ও রোধ করা যাবে। স্থানীয়ভাবে এ ধরনের অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মযজ্ঞকে জ্বালানি খাতের জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ দেশের শিল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও গৃহস্থালি খাত গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল থাকায় প্রতিটি ইউনিট গ্যাসের যথাযথ ব্যবহার জরুরি হয়ে পড়েছে।

বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় চলমান এই প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ হলে কূপগুলো থেকে প্রাপ্ত গ্যাস জাতীয় গ্রিডে পৌঁছাতে আর কোনো প্রযুক্তিগত বাধা থাকবে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এ উদ্যোগকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে এবং দ্রুত কার্যক্রম শেষ করার লক্ষ্যে নজরদারি চলছে।

বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় এই প্রকল্পকে গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনকারী হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে চ্যালেঞ্জও আছে—কূপের বয়স, ভূগর্ভস্থ সম্পদের স্বল্পতা এবং প্রযুক্তিগত রক্ষণাবেক্ষণ কতটা কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যায়, তার ওপরই নির্ভর করবে দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য।

এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে শুধু গ্যাস সরবরাহই বাড়বে না, বরং জ্বালানি খাতে মানুষের আস্থাও নতুন করে দৃঢ় হবে। অনেকের মতে, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এ ধরনের প্রকল্পই ভবিষ্যতের টেকসই সমাধান তৈরি করবে।

নবীনতর পূর্বতন