Top News

জীবনের বিনিময়ে শিক্ষার্থীর জীবন: মাহেরীন চৌধুরীর আত্মত্যাগে দেশের শ্রদ্ধা

 


মানবিকতার অমর দৃষ্টান্ত: শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরীর সমাধিতে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

মানুষের হৃদয় জয় করতে কিছু নাম অমর হয়ে থাকে সাহস আর আত্মত্যাগের গল্পে। বাংলাদেশের শিক্ষা অঙ্গনে এমনই এক অনন্য নাম মাহেরীন চৌধুরী। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাণ রক্ষায় নিজের জীবন উৎসর্গ করা এই শিক্ষিকার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নীলফামারীর জলঢাকায় তাঁর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।


মূল ঘটনা:

  • সম্মান প্রদর্শন:
    ২৩ জুলাই ২০২৫, বুধবার—নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার বগুলাগাড়ী গ্রামে শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল।
    বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনের পক্ষে এই শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।

  • শ্রদ্ধা ও সমবেদনা:
    মাহেরীন চৌধুরীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে প্রতিনিধি দল শোকসন্তপ্ত পরিবারের সঙ্গেও একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
    তাঁদের ভাষ্য, এই আত্মত্যাগের গল্প নতুন প্রজন্মের জন্য বয়ে আনবে মানবিকতা ও দায়িত্ববোধের শিক্ষা।

  • মানবিকতার প্রতীক:
    সাহসিকতা, ত্যাগ আর দায়িত্ববোধের যে দৃষ্টান্ত মাহেরীন চৌধুরী স্থাপন করেছেন, তা দেশের শিক্ষা সমাজে এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।
    কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় নিজের জীবন উৎসর্গ করে তিনি প্রমাণ করেছেন—একজন শিক্ষক শুধু জ্ঞান দেন না, প্রয়োজনে ছায়ার মতো হয়ে শিক্ষার্থীদের আগলে রাখেন।


শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরীর আত্মত্যাগ দেশের হাজারো শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মনে জাগিয়ে তুলবে দায়িত্ববোধ আর ভালোবাসার অদম্য শক্তি। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এই শ্রদ্ধাঞ্জলি নতুন প্রজন্মকে মনে করিয়ে দেয়—মানুষের জীবনের সেরা অর্জন কোনো পদ-পদবি নয়, বরং ভালোবাসা আর স্মৃতিতে বেঁচে থাকার অমরতা।


সংক্ষিপ্ত বার্তা:
একজন শিক্ষক নিজের দায়িত্ববোধে অটল থেকে যে মহাকাব্যিক অধ্যায় রচনা করতে পারেন, মাহেরীন চৌধুরী তাই নতুন করে প্রমাণ করে গেছেন—তাঁর এই আত্মত্যাগ যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবে দেশের প্রতিটি মানুষের শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতার মর্মবাণীতে।


নবজাগরণ ডেস্ক

নবীনতর পূর্বতন