Top News

মাইলস্টোন কলেজ ট্রাজেডি: তারেক রহমানের নির্দেশে হাসপাতালজুড়ে ছাত্রদলের মানবিক মিশন!

 


উত্তরা মাইলস্টোন কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের পাশে ছাত্রদল: চারদিনের মানবিক সহায়তা কর্মসূচি সম্পন্ন।

ঢাকার উত্তরা এলাকায় অবস্থিত মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের পাশে থেকে নিরলস সেবা কার্যক্রম চালিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় এই মানবিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে আহতদের চিকিৎসা ও জরুরি সহায়তায় দায়িত্ব পালন করেছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি থাকা আহতদের সেবা দিতে ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে। দুর্ঘটনার পরপরই আহতদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও রক্ত সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বগুলো তারা সামলেছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদলের স্বেচ্ছাসেবীরা টানা চারদিন ধরে হাসপাতালে অবস্থান করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ায়। আহতদের রক্তের প্রয়োজন মেটাতে একাধিকবার রক্ত সংগ্রহ ও সরবরাহ করা হয়। বার্ণ ইউনিটের পরিচালকের সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় করে চিকিৎসা প্রক্রিয়া সহজ করতে সহযোগিতা করা হয়েছে।

দীর্ঘ ননস্টপ সেবার পর বৃহস্পতিবার সর্বশেষ কয়েকজন অগ্নিদগ্ধ রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় রক্তের ব্যবস্থা নিশ্চিত করে আপাতত এই সেবা কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। তবে যেকোনো প্রয়োজনে আবারও একইভাবে সাহায্যের হাত বাড়ানোর প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রদলের নেতারা।

মাইলস্টোন কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় কতজন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে কার কী অবস্থা, কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে — এ বিষয়ে প্রশাসন এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তবে দুর্ঘটনার পর পরই বিমান বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ধার কাজ চালিয়ে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।

একটি দুর্ঘটনা কত মানুষের জীবনকে অস্থির করে দিতে পারে, মাইলস্টোন কলেজের এই অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা সেটাই যেন আরেকবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো। সংকটকালে স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সংগঠনগুলোর এমন ভূমিকা মানুষের প্রতি মানুষের দায়বোধ ও সহমর্মিতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো।

এই দুর্ঘটনা ও পরবর্তী সহায়তা কার্যক্রম আমাদের মনে করিয়ে দেয়—একটি দেশের যেকোনো সংকটে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আহতদের সুস্থতা কামনা করছি, আর এমন দুর্ঘটনা যেন আর না ঘটে—এটাই এখন সবার প্রত্যাশা।

নবীনতর পূর্বতন