অভিশপ্ত লঘুচাপের থাবা: উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা।
📍 ঢাকা, ১৯ জুন ২০২৫ —
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল যেন আবারও প্রকৃতির রোষানলে! আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় প্রবল থেকে অতি প্রবল বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই বৃষ্টিপাতের সম্ভাব্য প্রভাব পড়তে পারে জনজীবন, কৃষিকাজ, এবং পাহাড়ি ও উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার উপর।
বিশেষভাবে ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা রয়েছে ঝুঁকির তালিকায়। এসব অঞ্চলে বৃষ্টির তীব্রতা ও ধারাবাহিকতা থাকায় হঠাৎ বন্যা বা ভূমিধসের মতো দুর্যোগ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
লঘুচাপের গতিপথ ও বর্তমান অবস্থা।
বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় স্থলভাগে সৃষ্ট মৌসুমি লঘুচাপটি বর্তমানে ভারতের দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপর অবস্থান করছে। গত তিনদিন ধরেই এই লঘুচাপটি স্থির অবস্থানে রয়েছে, কেবল অল্প পরিমাণে পূর্ব দিকে সরে এসেছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় এটি খুলনা বিভাগের দিকে কিছুটা অগ্রসর হয়েছে।
এই লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে জলীয়বাষ্প উঠে আসছে এবং তা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে চট্টগ্রাম বিভাগ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবেশ করছে। ফলে পাহাড়ি এলাকার ঢাল বেয়ে ঘন মেঘের সৃষ্টি হচ্ছে এবং ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
⚠ সম্ভাব্য ঝুঁকি ও সতর্কবার্তা।
এই বৃষ্টিপাত শুধুমাত্র একটি সাধারণ বর্ষার পর্ব নয়; এটি হঠাৎ প্লাবন, নদীর পানি বৃদ্ধি, ভূমিধস এবং অবকাঠামোগত ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করছে। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকার জনগণ ও উপকূলবর্তী নিম্নভূমির বাসিন্দাদের জরুরি সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
কী করণীয়?
পাহাড়ি এলাকায় অপ্রয়োজনে চলাচল বন্ধ রাখুন।
উপকূলীয় অঞ্চলে নদী বা সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় না যাওয়ার পরামর্শ।
স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
দুর্যোগকালীন প্রস্তুতি ও খাদ্য/ওষুধ মজুদের ব্যবস্থা রাখুন।