বেগম খালেদা জিয়ার দেশে প্রত্যাবর্তন: রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন স্পন্দন।
দীর্ঘদিন পর উন্নত চিকিৎসা শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মঙ্গলবার (৬ মে ২০২৫) দেশে ফিরেছেন। যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ফিরেই তিনি হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গুলশানের বাসভবনে পৌঁছান। তার এই প্রত্যাবর্তন শুধু ব্যক্তিগত পুনর্মিলন নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক নতুন মাত্রা যোগ করল।
গুলশানে বেগম জিয়ার বাসভবনে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির ছিলেন বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন। নেত্রীকে স্বাগত জানানোর এই ক্ষণ ছিল আবেগঘন ও তাৎপর্যপূর্ণ—যেন দল ও নেতৃত্বের মধ্যে নতুন করে প্রাণসঞ্চার ঘটলো।
বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও শারীরিক অবস্থা নিয়ে যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি আসেনি, তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তার এই ফিরে আসা বিএনপির ভবিষ্যৎ কৌশল ও রাজনৈতিক গতিপথে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। অনেকের কাছেই প্রশ্ন জাগছে—এবার কি বেগম জিয়া সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসছেন? নাকি এ প্রত্যাবর্তন কেবল প্রতীকী?
তারেক রহমান ও ড. জুবাইদা রহমানের নেতৃত্বে দলটি যে নতুন গতি পেয়েছে, সেখানে বেগম জিয়ার প্রত্যাবর্তন রাজনৈতিক ভারসাম্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। বিএনপির ভেতরে ও বাইরে অনেকেই এই প্রত্যাবর্তনকে দেখছেন "দলের মেরুদণ্ড" ফিরিয়ে আনার মতো এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন বরাবরই নেতানেত্রীর উপস্থিতি ও অভাবে দুলে ওঠে। বেগম খালেদা জিয়ার এই ফিরে আসা নিঃসন্দেহে এক আবেগঘন অধ্যায়ের সূচনা করেছে—যার প্রভাব কেবল দলীয় রাজনীতি নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও প্রতিফলিত হতে পারে।