Top News

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এনসিপির সাংগঠনিক ঝলক: নেতৃত্বে নবজাগরণের আহ্বান।

 


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এনসিপির শক্তিশালী সংগঠনিক বার্তা: এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২৩ মে —

নতুন রাজনৈতিক সূচনার বার্তা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর এক শক্তিশালী সাংগঠনিক প্রস্তুতি সভা। জেলার ৯টি উপজেলার নেতৃবৃন্দ ও পৌরসভার সংগঠকদের সক্রিয় অংশগ্রহণে জেলা পরিষদ কনফারেন্স হলে আয়োজিত এই সভা যেন ছিল এক নতুন রাজনৈতিক জাগরণের সাক্ষ্য।

জাতীয় রাজনৈতিক মঞ্চে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করতে এনসিপির এই উদ্যোগ ছিল অত্যন্ত কৌশলী ও সময়োপযোগী। সভায় শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত বিপ্লবীসহ শতাধিক নিবেদিতপ্রাণ সংগঠক উপস্থিত ছিলেন, যারা নিজেদের প্রতিশ্রুতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে দলকে আরও শক্ত ভিতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

সভাটি পরিচালনায় ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ—দক্ষিণাঞ্চলের ডেপুটি মুখ্য সংগঠক মো: আতাউল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মাহদী, সংগঠক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জিহান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক নাভিদ নওরোজ শাহ। তাঁদের উপস্থিতি শুধুমাত্র দিকনির্দেশনা নয়, কর্মীদের মধ্যে নতুন প্রেরণাও জাগিয়েছে।

সংগঠনের লক্ষ্য ও অঙ্গীকার:

এই সভায় এনসিপি নেতৃত্ব তাদের মূল লক্ষ্য পুনরায় তুলে ধরে—গণমানুষের অধিকার, ন্যায়ের সংগ্রাম এবং একটি কার্যকর, স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি গঠনের প্রত্যয়। বক্তারা বলেন, “সংগঠন শুধু রাজনৈতিক অস্তিত্বের জন্য নয়, এটা একটি আদর্শিক আন্দোলন—যেখানে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা মূল ভিত্তি।”

নেতৃত্বের বার্তা: শেকড়ের সঙ্গে সংযোগ:

সভায় বক্তারা সংগঠকদের প্রতি আহ্বান জানান—তাদের কাজ যেন কেবল শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশনায় সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের হৃদয় জয় করে যেন এগিয়ে যায় দল। এক জন নেতার ভাষায়, “সাহস, সততা ও সংযম—এই তিন শক্তি দিয়েই এনসিপি গড়বে নতুন বাংলাদেশ।”

নবীনতর পূর্বতন