Top News

শোকাবহ বিদায় আল্লামা সুলতান যওক নদভী রাহিমাহুল্লাহ।

 


বিদায় এক আলোকবর্তিকা: আল্লামা সুলতান যওক নদভী রাহিমাহুল্লাহ আমাদের মাঝে আর নেই

প্রতিবেদন:

একটি দীপ্ত অধ্যায় পরিণত হলো অতীতে। উপমহাদেশের ইসলামি জ্ঞানের মহাসাগর, যুগান্তকারী শিক্ষাবিদ ও আলেম সমাজের প্রিয় মুখ আল্লামা মুহাম্মদ সুলতান যওক নদভী রাহিমাহুল্লাহ পাড়ি জমালেন অনন্তের দিকে। ইহজগতের সব কোলাহল পেছনে ফেলে তিনি স応 দিয়েছেন তাঁর প্রভুর ডাকে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন।

চট্টগ্রামের বিখ্যাত জামেয়া দারুল মা’আরিফ আল-ইসলামিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসেবে তাঁর নাম আজ আলেম সমাজের প্রতিটি স্তরে শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারিত হয়। শুধু একজন শিক্ষক নন, বরং ছিলেন একটি শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সৈনিক। হাজারো আলেম-ওলামার চিন্তাধারায় তিনি রেখেছেন অমলিন ছাপ, ভবিষ্যৎ ইসলামী নেতৃত্ব গঠনে রেখে গেছেন এক উজ্জ্বল মডেল।

আল্লামা নদভী ছিলেন একজন চিন্তাশীল দার্শনিক, কণ্ঠস্বরে ছিল প্রজ্ঞা, কর্মে ছিল দূরদর্শিতা। ধর্মীয় শিক্ষার কাঠামো ও পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তনের পক্ষে ছিলেন বলিষ্ঠ কণ্ঠ। তাঁর চিন্তা ও প্রচেষ্টায় বহু শিক্ষার্থী পেয়েছে আদর্শের সঠিক দিকনির্দেশনা।

আজ যখন তিনি চলে গেলেন, আমাদের হৃদয়ে রয়ে গেল এক শূন্যতা, যা পূরণ হবার নয়। তাঁর স্মৃতি, অবদান ও শিক্ষা পথনির্দেশ হয়ে থাকবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।

আমরা প্রার্থনা করি—আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন তাঁর সকল খেদমত কবুল করে নেন, ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দেন এবং তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চতম স্থানে আশ্রয় দান করেন। সেইসঙ্গে তাঁর পরিবার, সহকর্মী ও শিষ্যদের যেন দেন সবরে জামিলের তাওফিক।

শেষ কথা:

একজন আলেম চলে গেলে যেন একটি জ্ঞানগ্রন্থ হারিয়ে যায়। আল্লামা সুলতান যওক নদভী রাহিমাহুল্লাহ সেই ধরণের এক ব্যক্তিত্ব, যাঁর শূন্যতা বহুদিন অনুভব করবে এ জাতি।

আপনি কি চান এই প্রতিবেদনের জন্য একটি কাভার ছবি বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহারের মতো পোস্টার ডিজাইন করে দিই?

নবীনতর পূর্বতন