দেরাদুন: উত্তরাখণ্ডের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক চাকমা শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এবং সংশ্লিষ্ট অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলো তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম ও বিস্তারিত পরিচয় এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে সহপাঠীদের দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পৃথক 'চাকমা রাষ্ট্র' গঠনের দাবি তুলেছেন নেটিজেনদের একাংশ।
ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, "আমরা সকালে হোস্টেলের পেছনে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।" পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
দেরাদুন পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, "আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়।" ক্যাম্পাসে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসে জাতিগত বৈষম্যের শিকার হতে হতো ওই শিক্ষার্থীকে। তারা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতেও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
