১৪তম ইউনেস্কো ইয়ুথ ফোরামের দ্বিতীয় দিনে তরুণ নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ইয়ুথ ফোরামের সুপারিশমালা ও আহ্বান’ গ্রহণ করেছে, যা ইউনেস্কো সাধারণ সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে। একটি টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গঠনে ঐক্যবদ্ধ প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে শেষ হলো তরুণ নেতৃত্বের এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন।
দুই দিনের ফোরামে বিশ্বজুড়ে তরুণ অংশগ্রহণকারীরা আলোচনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের চূড়ান্ত সুপারিশমালা তৈরি করেন, যেখানে জলবায়ু অ্যাকশন এবং সমাজের উন্নয়নে তাদের দৃষ্টি প্রতিফলিত হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উদ্ভাবনী প্রকল্প.
ফোরামের কার্য অধিবেশনে পাঁচটি যুব-নেতৃত্বাধীন প্রকল্পের নেতারা তাদের অনুপ্রেরণামূলক ধারণা তুলে ধরেন। এসময় একটি দ্রুতগতির ব্রেনস্টর্মিং সেশনের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা সম্মিলিতভাবে নতুন সমাধান উদ্ভাবন করেন।
এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা জোরদার করা, জলবায়ু শিক্ষা প্রচার করা, নির্ভরযোগ্য তথ্যে তরুণদের প্রবেশাধিকার উন্নত করা, গ্রামীণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য চিহ্নিত করা এবং জলবায়ু অভিযোজনের জন্য ঐতিহ্যবাহী জ্ঞানকে পুনরুজ্জীবিত করা। এই উদ্যোগগুলো বিশ্বজুড়ে সমাজে যুব-চালিত উদ্ভাবনের প্রভাবকে তুলে ধরে। নির্বাচিত প্রকল্পগুলো ইউনেস্কোর গ্লোবাল ইয়ুথ গ্র্যান্ট স্কিমের মাধ্যমে সহায়তা পেতে থাকবে।
প্রত্যাশা.
ফোরামের সমাপনী দিনে ইউনেস্কো এবং উজবেকিস্তান সরকারের (অনুমানিত হোস্ট দেশ) প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখা হয়, যা সম্মেলনের সম্মিলিত অর্জনকে উদযাপন করে এবং ভবিষ্যতের পদক্ষেপের জন্য মঞ্চ তৈরি করে।
আলোচনা শেষে একটি সাংস্কৃতিক ও বাদ্যযন্ত্রের আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। এতে বিশ্বজুড়ে তরুণ পরিবর্তন সৃষ্টিকারীদের ঐক্য ও সৃজনশীলতা প্রতিফলিত হয়।
