দেশজুড়ে দাবি আদায়ের জোয়ার: পাঁচ দফা বাস্তবায়নে গণজাগরণের ঢেউ।
বাংলাদেশের রাজপথে ফের দোলা দিল জনমতের শক্তি। পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবির পক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা জুড়ে অনুষ্ঠিত হলো বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। রাজধানী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত একই সুর—ন্যায়সঙ্গত নির্বাচন ও জনগণের অধিকার নিশ্চিতের আহ্বান।
রবিবার সকাল থেকেই দেশের নানা প্রান্তে দলমত নির্বিশেষে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ মিছিলের ব্যানারে সমবেত হন। কোথাও স্লোগানে গর্জে উঠেছে শহর, কোথাও শান্তিপূর্ণ সমাবেশে উত্থাপিত হয়েছে গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের প্রত্যাশা। ঢাকার রাজপথে ছাত্র-যুবকের পাশাপাশি প্রবীণ নাগরিকদের অংশগ্রহণ ছিল নজরকাড়া। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর—প্রতিটি অঞ্চলে একই দৃশ্য: পতাকা হাতে মানুষের ঢল, কণ্ঠে পরিবর্তনের দাবি।
প্রধান দাবি পাঁচটি। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, যা জনগণের প্রত্যেক ভোটের সমান মূল্য নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি স্বচ্ছ ভোটার তালিকা, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, নিরপেক্ষ প্রশাসন ও গণতান্ত্রিক অধিকার সংরক্ষণের শর্তগুলোও উচ্চারিত হয়েছে সমাবেশ থেকে সমাবেশে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ আন্দোলন শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক নয়, এটি একটি গণঅধিকার আন্দোলন। সুশীল সমাজের অনেকেই মনে করছেন, এই ধারাবাহিক প্রতিবাদ দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কার ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নতুন মোড় আনতে পারে।
দিন শেষে সারাদেশের খণ্ডচিত্র যেন একটি বৃহত্তর গল্পের প্রতিচ্ছবি—যেখানে সাধারণ মানুষ তাদের ভোটাধিকারের মর্যাদা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ। এখন সবার দৃষ্টি সরকারের প্রতিক্রিয়ার দিকে। এই দাবি কি আলোচনার টেবিলে পৌঁছাবে, নাকি আরও বৃহৎ গণআন্দোলনের রূপ নেবে—প্রশ্নটি তাই দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিকের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র–বাংলাদেশ সম্পর্কের উষ্ণ বার্তা দিল ট্রাম্প–ইউনুসের সংক্ষিপ্ত আলাপ।