ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ আইসিটি সংলাপ: বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি সহযোগিতায় নতুন দিগন্ত।
ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সোমবার – রাজধানীর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিবালয় চত্বরে আজ অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দল বৈঠকে বসে দুই দেশের ডিজিটাল অংশীদারিত্ব ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে।
বৈঠকের মূল বিষয়
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বৈঠকে বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রসরমান তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, সরকার দেশের ডিজিটাল রূপান্তরকে আরও গতিশীল করতে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। ক্লাউড সার্ভিস, ডাটা গভর্নেন্স, ইলেকট্রনিক আইডি অথেন্টিকেশন এবং ডিজিটাল সার্ভিস ইকোসিস্টেমের মতো অত্যাধুনিক খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা বাংলাদেশের প্রযুক্তি অবকাঠামোকে শক্তিশালী করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া
মার্কিন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতির ধারাবাহিক উন্নয়নের প্রশংসা করে। তারা বলেন, ইলেকট্রনিক আইডি, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন এবং ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য রোল মডেল হতে পারে। ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ বাড়ানো ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেন তারা।
বিস্তৃত আলোচনার ক্ষেত্র
দুই পক্ষের আলোচনায় ডাটা গভর্নেন্স, ইন্টার-অপারাবিলিটি, ক্লাউড সেবার মানোন্নয়ন এবং ডিজিটাল সুরক্ষা ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার বিষয়গুলো বিশেষ গুরুত্ব পায়। বাংলাদেশের চলমান ডিজিটাল রূপান্তর প্রক্রিয়াকে টেকসই করতে এ ধরনের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা যে অপরিহার্য, বৈঠকে সেই বার্তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি
প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার জন্য এই সংলাপ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন নীতিনির্ধারকরা। বৈঠক শেষে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “আমরা চাই বিশ্বমানের প্রযুক্তি বিনিয়োগ এবং নতুন জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব।”
আজকের এই বৈঠক নতুন কোনো বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা না করলেও দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি প্রযুক্তি সহযোগিতার ভিত্তি আরও মজবুত করল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতিকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সোপান হয়ে থাকবে।
নবজাগরণ নিউজ!