কাকরাইলে রাজনৈতিক সংঘর্ষে সেনা-পুলিশ মোতায়েন, জনজীবনে ভয়াবহ অস্থিরতা।
ঢাকা, ২৯ আগস্ট ২০২৫ (শুক্রবার):
রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় শুক্রবার রাত আটটার দিকে দুটি রাজনৈতিক দলের কর্মীদের মধ্যে আকস্মিক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি দ্রুত ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সহিংসতায় রূপ নিলে এলাকা জুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুরুতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে অনুরোধ করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালায়। কিন্তু সংঘর্ষ ক্রমশ তীব্র হয়ে ওঠে এবং রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সহিংসতা নতুন মাত্রা নেয়। রাত ৯টার দিকে মশাল মিছিল, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টা পুরো কাকরাইল, বিজয়নগর ও নয়াপল্টন এলাকায় পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে। এতে সাধারণ মানুষের চলাচল ব্যাহত হয় এবং জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছে যায়।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর সংগঠিত হামলা চালানো হয়, যাতে কয়েকজন পুলিশ আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়। তবে সেনা সদস্যরাও হামলার শিকার হন এবং অন্তত পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে আহতদের চিকিৎসা চলছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
সরকারি সূত্র জানায়, জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করা হবে। সেনাবাহিনীও একই অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং জানিয়েছে, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় তারা সর্বদা প্রস্তুত।
এই সংঘর্ষ কেবল রাজধানীর নিরাপত্তা পরিস্থিতিকেই নাড়িয়ে দেয়নি, বরং সাধারণ নাগরিকদের মনে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। জনমনে প্রশ্ন জাগছে—রাজনীতি যদি সহিংসতার আকার ধারণ করে, তবে এর চূড়ান্ত মূল্য কে দেবে? শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সব পক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকা নেওয়া এখন সময়ের দাবি।