সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংহতি: নিরাপদ ক্যাম্পাসের প্রত্যাশা

👤 | 📅 বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ | 🏷️ রাজনৈতিক

 


এমসি কলেজে হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে উত্তাল বিক্ষোভ

নবজাগরণ ডেস্ক:

সিলেটের এমসি কলেজে এক শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকার রাজপথে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। ঢাবির ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পৃথক কর্মসূচি পালন করেছে।

ঢাবি প্রাঙ্গণে উত্তাল বিক্ষোভ

বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি ঢাকার রাজপথে ছিল উত্তেজনা। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ডাস চত্বরে সমবেত হয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে, যা শেষ হয় প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে। এ সময় শিবিরবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।

ছাত্রদলের নেতারা অভিযোগ করেন, শিবিরের গুপ্ত রাজনীতি শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলছে। দলটির নেতা গণেশ চন্দ্র রায় বলেন,



"শিবির পরিকল্পিতভাবে ছাত্ররাজনীতির ঐক্য নষ্ট করছে। সিলেটের ঘটনায় এরই বহিঃপ্রকাশ।"

অন্যদিকে, সংগঠনটির আরেক নেতা নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন,

"গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস গড়ে তোলার জন্য ছাত্রদল বরাবরই সংগ্রাম করেছে, কিন্তু শিবির চায় সহিংসতার মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনকে অস্থিতিশীল করতে।"

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিবাদ

রাত সাড়ে আটটায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখানেও একই দাবিতে স্লোগান ওঠে। সংগঠনটির নেতা আরিফ সোহেল বলেন,

"আমরা দেখতে পাচ্ছি, ক্যাম্পাসে আবারো সহিংসতার রাজনীতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। কিন্তু তা কখনোই বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না।"

নেতা আবু বাকের মজুমদার দাবি করেন,

"শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতা দমনে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।"

মূল দাবি ও প্রতিক্রিয়া

দুই সংগঠনই ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। তাদের মূল দাবিগুলো হলো—



১. শিবিরের গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।

২. শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতা প্রতিহত করতে হবে।

৩. হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও সংহতি প্রকাশ করতে দেখা গেছে। অনেকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেন কোনো রাজনৈতিক সংঘাতের কেন্দ্র না হয়ে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখে, তা নিশ্চিত করা উচিত।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শিক্ষাঙ্গনে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা থামাতে হলে নিরপেক্ষ ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। অন্যথায়, একের পর এক হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে।

শেষ কথা:

সিলেটের ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকার বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। তবে কেবল প্রতিবাদ নয়, এই ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার পরিবেশ যেন রাজনীতির নামে সহিংসতার শিকার না হয়, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।